রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
মাহবুব হাওলাদার:- হোয়াটসএ্যাপে ঘোষ শেখ নামে এক ভারতীয়ের কলে হুমকী প্রযুক্তিভাবে দীর্ঘদিন যাবত একটি চক্র বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যাচার অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আমার জি-মেইল, ফেইসবুক, সিমসহ সমস্ত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে হ্যাক করে তারা আমার পরিচয় প্রদান করে
বিভিন্ন জায়গায় আমাকে জামায়াত শিবির ও বড় রাজনৈতিক ব্যক্তি বানায়।
আমি কোনো প্রকার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত নই। উক্ত চক্রের সদস্য
মাইনুদ্দিন(১৭) স্বর্নকার মনিরের ভাগিনা ও মনিরের বোন শিরিন (৪৫)
পত্রিকায় তাদের দোকানের বিজ্ঞাপন দেওয়ার কথা বলে আমার ফোন
নম্বর চায়। পরবর্তিতে আমার ফোনে বিভিন্ন হ্যাকিং জনিত সমস্যা
উপলব্ধি হতে থাকে। আমি মাইনুদ্দিনকে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে
সে আমাকে সাইবার ৭১ এর ফাউন্ডার এবং এরেনা সুইপের পরিচালক
পরিচিতি প্রদান করে প্রযুক্তির অপব্যবহার করে আমাকে রাষ্ট্রদোহী
সাজিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি প্রদান করে।
সাইবার ৭১ প্রযুক্তির নিরাপত্তার শ্লোগান দিলেও সামরিক বাহিনীর কিছু উৎসাহিত কর্মীদের নিয়ে প্রযুক্তিগত ভাবে গুম খুনে নিয়োজিত। তারপর আমি তাদের কাছ থেকে
নাম্বার ছাড়া একটি কল পাই। কলটি করে একটি মেয়ে। সে আমাকে এন এস
আই এর অফিসার পরিচয় দিয়ে আমাকে ভারত নিয়ে গুপ্ত হত্যা করার হুমকি
দেয়। তারপর প্রেমের ফাঁদ পেতে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলে ছবি পোস্ট
করে একটি আইডি সেও একই পরিচয় প্রদান করে এবং গুম খুনের হুমকি
প্রদান করে। আইডি নাম আফসানা লিজা লাইকি ফেইসবুক আইডি। দ্বিতীয়
কল আসে ফোনে সেও নাম্বার গোপন রেখে কল করে এবং বলে আমি নিশাত
আফরিন এমিলা বলছি, আমাকে ৫লক্ষ টাকা দিতে হবে নাহলে পরিনতি হবে
ভয়াবহ। তৃতীয় কল যখন আসে তখন শফিকুল ইসলাম নাদিম নাম পরিচয়
প্রদান করে বলে তোকে টুকরো টুকরো করবো। অপরাধ চক্রটিকে আইনি
সহায়তা প্রদান এবং সাংবাদিক হয়রানির জন্য সাইবার আইন বিভাগে
পড়াশোনা করছে সাংবাদিকদের বিরোধী নিশাত আফরিন এমিলা। নিজাম
শিকদারের বোন স্বপ্না শিকদার আজমির থেকে নাকি অনেক ক্ষমতাশীল
লোকের সাথে পরিচয় হয়। স্বপ্না শিকদার লোভনীয় খাবার এবং অর্থ কড়ি
দিয়ে একটি বিশাল চক্রকে ব্যবহার করছে। আজমির গিয়ে ক্ষমতা সংগ্রহ
রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে এবং নারায়ণগঞ্জের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত
আইভীর, সোনালী ব্যাংকের জি এম ও প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাব
বিস্তার করে আমার এলাকায় রাস্তার কাজ চলাকালীন সময়। স্বপ্না
শিকদার ও নিজাম শিকদারের নামে বিভিন্ন জায়গায় বিলাস বহুল বাড়ি এবং
সম্পত্তি রয়েছে। এদের আয়ের উৎস জানতে চাইলে তথ্য না দিয়ে হুমকী
প্রদান করে। এছাড়াও আমার এলাকার শফিকুল ইসলাম নাদিম সে মহামান্য
রাষ্ট্রপতির এবং প্রধানমন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্ম করছে। শফিকুল
ইসলাম নাদিম বলে ডিবি দিয়ে তুলে নিয়ে হাত পা ভেঙে ভারতে পাঠাব
পরবর্তীতে তুমি শেষ। নাদিম এবং নিজাম বাহিনীর নেতৃত্বে আমার বসবাসের
জায়গা আত্বসাৎ করতে আমার সৎ দাদি চক্রটিকে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার
করছে। সে আমাদের পরিবারে আসার পর একের পর এক জমি বিক্রি করে
ঋনের দোহাই দিয়ে সে এবং তার মেয়ের শশুর বাড়ির লোকজন তাওলাত,
কাউছার এছাড়াও বিভিন্ন চক্রের মহল প্রায় এক কোটি টাকার সম্পত্তি
আত্বসাৎ করে। দাদা বাবার কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে জমি দিখে
দেওয়ার কথা বলে। পরবর্তীতে হুমকী প্রদান করে যে আমাকে পুলিশ ধরে
নিয়ে গেলে আদালতে বলবো ছেলে মেয়েরা আমাকে ভরণ পোষণ দেয় না।
একথা বললে কোন বিচারক আমাকে আটকাবে। জমি বিক্রি করে তার মেয়ের
জামাইকে কাতার পাঠায়। এছাড়াও বিভিন্ন আত্নীয় স্বজনের কাছে তাদের
নামে জমি কিনে এবং জমি বিক্রিকৃত টাকা তাদের কাছে আমানত রাখে। দাদা
দাদি এবং তার ছেলে সুমন। এছাড়াও চক্রটির প্রধান শফিকুল ইসলাম নাদিম
মসজিদের ক্যাসিয়ার থাকা কালীন অবস্থায় ৬৬,০০০ টাকা আত্বসাৎ
করেন। আমি এবং আমার এলাকার কিছু সংখ্যক লোক এসব অন্যায়ের
প্রতিবাদ জানালে গুম খুন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকী প্রদান
করে। আমি মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিক মাহবুব হাওলাদার। প্রেমের
ফাঁদ ফেলে বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যা। ঠিক একই রকম প্রেমের ফাঁদ,
গুম, খুন করার পরিকল্পনা। কিছু অর্থলোভী মেয়ে রাস্তায় চলার পথে কারো
প্রতিশোধের হাতিয়ার হিসেবে কিছু অর্থের বিনিময়ে আপনাকে রাস্তায়
জড়িয়ে ধরে বলবে তাকে জড়িয়ে ধরেছেন। আশেপাশের সুবিধাবাদী মহলে ও
প্রশাসনের কাছে বলবে সব দোষ ছেলেটির মেয়েটির কথায়। বিভিন্ন
প্রোগ্রাম পার্টিতে কিছু বন্ধু দাওয়াত দিয়ে নিয়ে বান্ধবী ছদ্মবেশি
অর্থলোভী বান্ধবী ছদ্মবেশী অর্থলোভী বান্ধবী কোল্ড ড্রিংসের সাথে
নেশা জাতীয় কিছু মিশিয়ে অস্লিল ভিডিও ভাইরাল করে। এছাড়া দেখবেন
অর্থলোভী মেয়ে একটি কাবিন নামা মোটা অঙ্কের টাকা লিখিয়ে একজনের
সাথে তিন মাস সংসার করে আরেকজনের সাথে আবার নতুন বিয়ে করে নতুন
কাবিন নামা আয়োজন করে। এটা একটা ব্যবসা। নারী নির্যাতনের ফায়দা।
আইনের চোখে সবাই সমান। কথাটি সত্য নয়। দেশে পুরুষ নির্যাতনের নিরব
দূর্ভিক্ষ চলছে। অপরাধীর কোন লিঙ্গ নাই। হোক নারী হোক পুরুষ।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমি গুম, খুনকে সমর্থন করি না। অথচ সামরিক-
বেসামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর কিছু সদস্য বলছে ভারত নিয়ে গুম, খুন করা
হবে। আমাদের রাষ্ট্রপতি বলেছেরন আমার দেশ থেকে মানিবাধীকার শিখাবো
আমেরিকাকে। আজকে সেই মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিকদের গুম, খুন,
মিথ্যা মামলার পরিকল্পনা করছে কিছু উৎসাহিত গোয়েন্দা কর্মকর্তা। যা
রাষ্ট্রপতির এবং প্রধানমন্ত্রীর বার্তার বিরুদ্ধে এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ
রাষ্ট্রদ্রোহীর বিরুদ্ধে কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহী বানানো হয়। মাদকের
বিরুদ্ধে কথা বললে মাদক সেবনকারী বানানো হয়। অস্ত্রধারীর বিরুদ্ধে
কথা বললে অস্ত্রধারী বানানো হয়। খুনির বিরুদ্ধে কথা বললে খুনি বানানো
হয়। সত্য কথা বললে বলা হয় ভিত্তিহীন যা স্বাধীন দেশে কাম্য নয়। জেলে
পাঠিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগে
আক্রান্ত বলে মেরে ফেলার কাজেও যুক্ত কিছু প্রশাসন। গণভবন এবং
বঙ্গভবনের আঠারো উনিশ জন কর্মকর্তা যদি করেন প্রধানমন্ত্রী এবং
রাষ্ট্রপতি শুধু তাদের তাহলে এটা ভুল ধারণা। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয়
নেতা এদেশের আঠারো কোটি মানুষের।